প্রকাশিত: Tue, Jul 9, 2024 2:42 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:49 AM

[১]খালেদা জিয়া ফের অসুস্থ, এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি

সালেহ্ বিপ্লব: [২] সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা।  রোববার ভোর পৌনে পাঁচটায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

[৩] তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোর ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করে তার গাড়ি। 

[৪.১] এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ জুন বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। 

[৪.২] খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক ছিলো। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিলো। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়। ২ জুলাই তিনি বাসায় ফেরেন।

[৫] ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভারসহ কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। 

[৬] ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। সেই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

[৭] করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। পরবর্তীতে ছয় মাস অন্তর এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। 

[৮] সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বাসায় থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

[৯] ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। সম্পাদনা: এল আর বাদল